রিযিক লাভ ও বৃদ্ধির শরয়ী নির্দেশনা
রিযিক লাভ ও বৃদ্ধির শরয়ী নির্দেশনা
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এই সৃষ্টির পর তার রিযিক তথা- যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের দায়িত্বও আল্লাহ তাঁর নিজ হাতে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ভ‚-পৃষ্ঠে এমন কোনো প্রাণী নেই যার রিযিক আল্লাহ নিজ দায়িত্বে রাখেননি। [হুদ : ৬]অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন- আল্লাহ নিজেই রিযিক দাতা ও প্রবল প্ররাক্রমশালী। [যারিয়াত : ৫৮] অন্য আরেকটি আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন : আসমানে আছে তোমাদের রিযিক এবং তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় তাও। [যারিয়াত : ২২]
এরকম আরো বিভিন্ন আয়াত ও হাদীস থেকে বিষয়টি প্রমাণিত। তবে কুরআন ও হাদীসের এসব বর্ণনা থেকে এ কথা ভাবার কোনো সুযোগ নেই যে, এখানে মানুষকে অলস ও অকর্মণ্য বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। অর্থাৎ রিযিক যেহেতু আল্লাহ তায়ালারই হাতেতবে আমরা কাজ করে, রিযিকের তালাশে কষ্ট করে আর কী করবো? কারণ, এই সব আয়াত ও হাদীসের উদ্দেশ্য হলোএকথা স্পষ্ট করা- আল্লাহ তায়ালা যেহেতু মানুষের স্রষ্টা সেহেতু তার যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের দায়িত্বও তাঁর হাতে। এবং তার কাছেই রয়েছে সবকিছুর পরিপূর্ণ ক্ষমতা- একথার পূর্ণ বিশ্বাস যেন মানুষের অন্তরে বদ্ধমূল থাকে। এবং এই বিশ্বাস সঙ্গে নিয়েই যেন সে তার যাবতীয় কাজ সমাধা করে। অন্যথায় রিযিকের তালাশে নিজেকে ব্যস্ত রাখা, নিজেকে অলস ও অকর্মণ্য বানিয়ে না ফেলা, জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা ফিকির করা ইত্যাদি বিষয়ের উপর ইসলাম যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে এবং এ ব্যাপারে মানুষকে বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধও করেছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন : নামায সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করবে। যাতে তোমরা সফল হও। [জুমআ : ১০]
আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী রহ. বলেন : অর্থাৎ যখন নামায শেষ হয়ে যাবে তখন তোমরা ব্যবসায়িক কাজকর্ম ও অন্যান্য পার্থিব প্রয়োজনাদি পূরণে বেরিয়ে পড়। [আল জামেউ লিআহকামিল কুরআন : খ.১৮, পৃ.৯৬]
এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তোমাদের কেউ তার রশি নিয়ে চলে যাক। পিঠে কাঠের বোঝা বহন করে এনে বিক্রি করুক এবং তার চেহারাকে আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচিয়ে রাখুক। এটা তার জন্য মানুষের কাছে ভিক্ষা করা- চাই তাকে দান করুক বা না করুক- তার চেয়ে উত্তম। [মুসলিম : ১০৪০]
অপর এক হাদীসে হযরত আয়শা রা. বলেন : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সর্বোত্তম উপার্জন কোনটি? জবাবে তিনি বলেন : ব্যক্তির নিজস্ব শ্রমলব্ধ উপার্জন ও সততার ভিত্তিতে ক্রয় বিক্রয়। [মুসনাদে আহমদ : খ.৪, পৃ. ১৪১]
তবে এখানে আমাদের আলোচ্যবিষয় হলো- রিযিকের মূল দায়িত্ব আল্লাহ তায়ালার হাতে থাকলেও কুরআন ও হাদীসে এমন কিছু বিষয়ের উল্লেখ পাওয়া যায় যার মধ্যে বান্দার উত্তম রিযিকলাভ ও তা বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্ট করা আছে। যেমন :
এক. তওবা ও এস্তেগফার করা। আল্লাহ তায়ালা সূরা নূহের মধ্যে নূহ আ. কর্তৃক তার উম্মতকে দাওয়াত প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন : অতপর আমি তাদেরকে (উম্মতকে) বলেছি- নিজ প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। নিশ্চিত জেনো, তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতিতে উন্নতি দান করবেন। এবং তোমাদের জন্য সৃষ্টি করবেন উদ্যান আর তোমাদের জন্য নদ নদীর ব্যবস্থা করবেন। [নূহ : ১০-১২]
আয়াতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ভেতরেই মানুষের জাগতিক প্রয়োজন পূরণের আয়োজন রয়েছে। অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন : (এ কিতাব নবীকে নির্দেশ দেয়, যেন তিনি মানুষকে বলেন-) এবং তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করো অতপর তার কাছে তওবা করো। তিনি তোমাদেরকে এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত উত্তম জীবন উপভোগ করতে দেবেন। এবং যে কেউ বেশি আমল করবে তাকে নিজের পক্ষ থেকে বেশি প্রতিদান দেবেন। [হুদ :৩]
আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছে, উত্তম রিযিক ও উত্তম জীবন উপভোগ করার উপায় হলো- আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
দুই. যথাযথভাবে নামায আদায় করা এবং তা আদায়ে সচেষ্ট হওয়া। আল্লাহ তায়ালা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করেন- আর আপনি নিজ পরিবারবর্গকে নামাযের আদেশ করুন এবং নিজেও তাতে অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে রিযিক চাই না। রিযিক তো আমিই আপনাকে দান করবো। আর শুভ পরিণাম তো তাকওয়ারই। [ত্বহা : ৩২]
আয়াতে যদিও কেবল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করা হয়েছে তবে এই আদেশ ও তার ফলাফল তাঁর পরবর্তী উম্মতদের জন্যও প্রযোজ্য। তাফসীরে ইবনে কাসীরে আয়াতের শেষাংশের ব্যাখ্যায় বলা হচ্ছে- অর্থাৎ যখন আপনি যথাযথভাবে নামায আদায় করবেন তখন আমি এমন উপায়ে আপনার কাছে রিযিক পৌঁছাবো তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। [ইবনে কাসীর : খ. ৫, পৃ. ২৮৮]
তিন. দোয়া করা। অর্থাৎ উত্তম রিযিক লাভ এবং দারিদ্রতা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে সুপারিশ করা। অনেক হাদীসেই তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দারিদ্রতা থেকে মুক্তির দোয়া করেছেন। এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কুফরী দারিদ্রতা এবং কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। [নাসাঈ : ১৩৪৭] অন্য এক হাদীসে আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা দারিদ্রতা সম্পদের সংকীর্ণতা, মানুষের সামনে অপদস্থতা, অন্যের ওপর নির্যাতন করা এবং অন্যের কাছ থেকে নির্যাতিত হওয়ার ব্যপারে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করো।[নাসাঈ : ৫৪৭৫, আবু দাউদ : ১৫৪৪]
চার. তাওয়াক্কুল তথা আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে কারীমে বলেন, যে কেউ আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার (যাবতীয় ব্যপারে) যথেষ্ট। [তালাক : ৩] অর্থাৎ আল্লাহর ভরসা রাখলেই আল্লাহ তার যাবতীয় প্রয়োজন পূরনের দায়িত্ব নেবেন। এক হাদীসে হযরত উমর রা. বলেন, আমিরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- যদি তোমরা আল্লাহর উপর যথার্থ ভরসা করতে তবে তিনি তোমাদের পাখিদেরকে রিযিক দেয়ার মত রিযিক দান করতেন। পাখিরা সকালে খালি পেটে বের হয়। সন্ধ্যায় ভরা পেটে ফেরে। [তিরমিজী : ২৩৪৪]
পাঁচ. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা। অর্থাৎ নিজের নিকটাত্মীয়দের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের খোঁজ খবর নেয়া, সাহায্য সহযোগীতা করা, তাদের অধিকারসমূহ পূরণ করা, দ্বীনি ব্যপারে তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করা ইত্যাদি বিষয়ে যদি কেউ যত্নবান হয় আল্লাহ তায়ালা তার রিযিকের মধ্যে বরকত ও প্রসস্থতা দান করেন। হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- যে চায় তার রিযিকের মধ্যে প্রশস্ততা আসুক, তার হায়াতে বরকত হোক সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে। [বুখারী : ২০৬৭, মুসলিম : ২৫৫৭]
ছয়. আল্লাহর রাস্তায় খরচ করা। বাহ্যত মনে হয়, খরচ করলে তো সম্পদ কমে গেলো। এতে আবার লাভ হলো কোথায়? কিন্তু আসল কথা হলো- এই রাস্তায় খরচ করার মধ্যেই বরং রিযিক বৃদ্ধি লুকিয়ে আছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা যা কিছুই ব্যয় করো তিনি তদস্থলে অন্য জিনিস দিয়ে দেন। তিনি শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা। [সাবা : ৩৯] এক হাদীসে হযরত আবু হোরায়রা রা. বলেন, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত বেলাল রা. এর কাছে গেলেন। সেখানে এক স্তুপ খেঁজুর দেখতে পেলেন। জিজ্ঞেস করলেন- এগুলো কী বেলাল? বেলাল রা. বললেন, খেঁজুর। আমি এগুলো সঞ্চয় করছি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বেলাল! তুমি খরচ করতে থাকো। আরশের মালিকের পক্ষ থেকে কমিয়ে দেয়ার আশংকা কোরো না। [তারারানী : ১০২০, বায়হাকী : ১২৮৩] অপর এক হাদীসে কুদসীতে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- হে আদম সন্তান! তুমি খরচ করো। আমিও তোমার উপর খরচ করবো। [বুখারী : ৫৩৫২] এমনকি এক হাদীসে এসেছে, ফেরেশতারাও তার জন্য উত্তম প্রতিদানের দোয়া করতে থাকে। এ সম্পর্কে এক হাদীসে এসেছে, প্রতিদিন সকালে দুইজন ফেরেশতা পৃথিবীতে অবতরণ করেন। তারপর এক ফেরেশতা দোয়া করে- হে আল্লাহ! যে খরচ করে আপনি তার উত্তম প্রতিদান দিন। আর যে কুক্ষিগত করে রাখে তার সম্পদ ধ্বংস করে দিন। [বুখারী : ১৪৪২, মুসলিম : ১০১০]
সাত. তাকওয়া তথা খোদাভীতি অবলম্বন করা। এর কারণে আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তার অকল্পনীয় স্থান থেকে রিযিক দানের ওয়াদা করেছেন। এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে আল্লাহ তার জন্য সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ তৈরী করে দেবেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে রিযিক দান করবেন, যা তার ধারণার বাইরে। [তালাক : ২-৩] অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যদি সে সকল জনপদবাসী ইমান আনতো ও তাকওয়া অবলম্বন করতো তবে আমি তাদের জন্য আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী উভয় দিক থেকে বরকতের দরজাসমূহ খুলে দিতাম। কিন্তু তারা (সত্য) প্রত্যাখ্যান করলো। সুতরাং তাদের ধারাবাহিক অসৎকর্মের কারনে আমি তাদেরকে পাকড়াও করলাম। [আ’রাফ : ৯৬]
আট. যিকির তথা আল্লাহ তায়ালার স্মরন সর্বদা নিজের ভেতর জাগরুক রাখা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর যে কেউ আমার স্মরন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে তার জীবন হবে বড় সংকটময়। [ত্বহা : ১২৪] বোঝা গেলো, যে ব্যক্তি সবসময় নিজের ভেতর আল্লাহর স্মরন জাগ্রত রাখবে আল্লাহ তার জীবনকে স্বাচ্ছন্দময় করে দেবেন।
নয়. শোকর করা। অর্থাৎ পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন নিজের কাছে অবশিষ্ট থাকা নেয়ামতের উপর আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। এতে করে আল্লাহ তায়ালা সেই নেয়ামতকে আরো বাড়িয়ে দেবেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যদি তোমরা তোমাদের প্রদত্ত নেয়ামতের) শুকরিয়া আদায় করো তবে আমি তোমাদের (নেয়ামত) আরো বাড়িয়ে দেবো। [ইবরাহীম : ৭]
দশ. দ্বীন নিয়ে ব্যস্ত থাকে এমন কাউকে সাহায্য সহযোগিতা করা। অর্থাৎ এমন কাউকে সাহায্য করা যে দ্বীন অর্জনে কিংবা দ্বীন প্রচারে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। এর দ্বারাও রিযিক লাভ হয়ে থাকে। হযরত আনাস রা. বলেন, রাসূলের যুগে দুই ভাই ছিলো। একভাই সর্বদা রাসূলের দরবারে (দ্বীন শেখার জন্য) পড়ে থাকতো। আর অপরভাই কামাই রোজগার করতো। এই উপার্জনকারী ভাই তার অপর ভাইয়ের ব্যপারে রাসূলের কাছে অভিযোগ করলে রাসূল তাকে জানিয়ে দিলেন, খুব সম্ভবত তার কারণেই তুমি রিযিকের অধিকারী হচ্ছো। [তিরমিজী : ২৩৪৫] রাসূলের একথা বলার উদ্দেশ্য হলো- তুমি তোমার এই ভাইকে তার নিজ অবস্থায় ছেড়ে দাও। এবং তাকে তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী দ্বীন শেখার ব্যপারে সাহায্য সহযোগিতা করো। হতে পারে, তোমার এই সাহায্য করার কারণেই তুমি রিযিকের অধিকারী হও।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে বিষয়গুলোর উপর যথাযথ আমল করার তাউফিক দান করুন!
লেখক
হাফেজ মাওলানা মুফতি রায়হান ফেরদৌস
সহকারী মুফতি ও মুহাদ্দিস
আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলূম ঢাকা
আফতাবনগর মসজিদ মাদরাসা কমপ্লেক্স।
মেরুল বাড্ডা ঢাকা ১২১২

কোন মন্তব্য নেই