Header Ads

Header ADS

কুরআন -হাদীসের কষ্টিপাথরে শবে মে’রাজ করণীয় ও বর্জনীয়

কুরআন -হাদীসের কষ্টিপাথরে শবে মে’রাজ করণীয় ও বর্জনীয়

এই মাসটি হলো রজব মাস। মানবতার মুক্তির দুত মহানবী সা. এর নবুওয়তী জিন্দেগিতে যেসব অলৌকিক ঘটনা ঘটে ছিল তম্মধ্যে অন্যতম ঘটনা হলো মে’রাজ। যা এই মাসে সংঘঠিত হয়, এবং এটি কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। তার অস্বিকারকারী কাফের। পাঠকদের সুবিধার্থে মে’রাজের সংক্ষিপ্ত বিবারণ নিম্নে তুলে ধরা হলো-
আল্লামা ইবনে কাসীর রহ. মে’রাজের ঘটনা এইভাবে বর্ণনা করেন-একদা রাতের বেলা রাসুল সা. তার চাচাতো বোন  হযরত উম্মে হানী রা. এর নিঝুম নিলয়ে নিভৃতে আরাম নিচ্ছিলেন। রাসুল সা. তখন তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ছিলেন। এমন সময় বিস্ময়করভাবে ঘরের ছাদ ফেটে যায়, এবং ছাদপথে ফেরেশতা জিবরাইল আ. অন্তকুঠরিতে প্রবেশ করেন। জিবরাইল আ. এর সাথে অন্য ফেরেশতা হযরত মিকাঈল আ.ও ছিলেন। জিবরাইল আ. রাসুল সা. কে ঘুম থেকে জাগ্রত করে হারাম শরিফে নিয়ে যান । রাসুল সা. এখানে এসে হাতিমে কা’বায় ঘুমিয়ে পড়েন, জিবরাইল ও মিকাইল আ. পুনরায় রাসুল সা.কে জাগিয়ে তুলেন, এবং ‘জমজম’ কুপের পাশে তাকে নিয়ে আসেন। সেখানে রাসুল সা. এর বক্ষবিদারণ করেন, এবং পবিত্র ‘জমজম’ পানি দ্বারা তার বক্ষ মোবারক ধৌত করেন। অতঃপর একটি আরোহনের যন্ত্র ‘বোরাক’ প্রাণী আনা হয়। রাসুল সা. সে বাহনে আরোহণ করেন। রহমতে আলম তার কুদরতি বাহন ‘বোরাক’ বায়ুগতিতে চলাতে লাগলেন। সে দৃষ্টি সীমার শেষ প্রান্তে কদম ফেলে। যাত্রাপথে রাসুল সা. ইয়াসরিব নগরীতে উপস্থিত হোন। জিবরাইল আ. রাসুল সা. কে পরিচয় করিয়ে দেন এটা ইয়াসরাব  উপত্যকা। আপনার হিজরতের স্থান, মক্কার লোকেরা যখন আপনাকে ষড়যন্ত্র করে তাড়িয়ে দিবে তখন এই স্থানে আসবেন । রাসুল সা. সেখানে নেমে দুরাকাত নফল নামাজ আদায় করলেন। বোরাক চলতে থাকে আপন গতীতে, চলতে চলতে বোরাক ‘তুর’ পর্বতের পাদদেশে সানাই প্রান্তরে উপস্থিত হয়। জিবরাইল আ. রাসুল সা. কে পরিচয় করিয়ে দেন এটা ‘তুর’ পাহাড় যেখানে আল্লাহ তা’য়ালা তার নবী মুসা আ. এর সাথে কথা বলেছেন। রাসুল সা. পূর্বের অভ্যাস অনুযায়ী সেখানে দুরাকাত নামাজ আদায় করেন। বিদ্যুতের ন্যায় ‘বোরাক’ চলতে লাগলো একপর্যায়ে হযরত ঈসা আ, এর জন্মভুমি ‘বায়তুল লাহম’ ফিলিস্তিনে পৌঁছেন। সেখানেও পূর্বের নিয়মানুযায়ী দুরাকাত নামাজ আদায় করেন। এমনি আরো অনেক ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে বাইতুল মুকাদ্দাসে যাওয়ার পথে। পরিশেষে সফরসঙ্গীসহ রাসুল সা. বাইতুল মুকাদ্দাসে পৌছেন, সেখানে মহান রাব্বুল আলামীন কুদরতীভাবে পূর্বের সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরামদের উপস্থিত করে রেখে ছিলেন। রাসুল সা. আপন সাওয়ারীকে পাথরের সাথে বেঁধে মসজিদে প্রবেশ করেন। অপরদিকে জিবরাইল আ. আযান ও ইকামত দিয়ে নামাজের প্রস্তুতি নিতে লাগলেন, এবং সবাই নামাজের অপেক্ষায় রইলেন কে এই নামাজের ইমামতি করবেন? পরিশেষে জিবরাইল আ. রাসুল সা.এর হাত মোবারক ধরে সামনের দিকে এগিয়ে দিলেন, এবং বললেন আজ আপনি এই নামাজের ইমাম। তখন রাসুল সা. সকল নবীদেরকে নিয়ে দুরাকাত নামাজ আদায় করলেন। অতঃপর জিবরাইল আ. রাসুল সা. কে নিয়ে উর্ধ্বকাশের যাত্রা শুরু করেন। সর্বপ্রথম রাসুল সা. দুনিয়ার আসমানে যান, সেখানে বাবা হযরত আদম আ. এর সাথে সাক্ষাত হয়, এবং  তার সাথে সালাম বিনিময় করেন। এরপর দ্বিতীয় আসমানে যান সেখানে হযরত ঈসা ও ইয়াহইয়া আ. এর সাথে সাক্ষাত করেন তাদের সাথেও সালাম বিনিময় করেন। এভাবে তৃতীয় আসমানে যান সেখানে হযরত ইউসুফ আ. এর সাথে সাক্ষাত করেন, চতুর্থ আসমানে হযরত ইদরীস আ. এর সাথে সাক্ষাত করেন, পঞ্চম আসমানে হযরত হারুন আ. এর সাথে সাক্ষত করেন, ষষ্ঠ আসমানে হযরত মুসা আ. এর সাথে সাক্ষাত করেন। সপ্তম আসমানে হযরত ইবরাহীম আ. এর সাথে সাক্ষাত করেন। এভাবে সবার সাথে সাক্ষাত করে সিদরাতুল মুনতাহার দিকে রওয়ানা হোন । রাসুল সা. এমন উর্ধে¦ গমন করেন যেখানে তিনি ‘লাওহে মাহফুজের’ কলম চলার আওয়াজ শুনতে পান। তখন জিবরাইল আ. বললেন আমার যাত্রাপথ এখানে শেষ, আপনার সাথে আর সঙ্গ দেয়া আমার সাধ্যের বাহিরে। আর যাওয়ার অনুমতি নেই আমার। অতঃপর রাসুল  সা. তার মা’শুক আল্লাহর এত নিকটে চলে যান, এবং তার সান্নিধ্য লাভে নিজেকে ধন্য করেন। আর সে সাথে আল্লাহর দিদার লাভ হয়। অতঃপর মহান রাব্বুল আলামীন তার আশেকের মুলাকাতের পর উম্মতে মুহাম্মাদিয়ার জন্য হাদিয়া স্বরুপ পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। রাসুল সা. উক্ত হাদিয়া নিয়ে চলে আসেন। আসার সময় মুসা আ. সাথে সাক্ষাত হয়। তিনি জিঙ্গাসা করলেন আল্লাহ তা’য়ালা আপনাকে কি দিয়েছিলেন? তিনি প্রতি উত্তরে বললেন! আমার উম্মতের জন্য হাদিয়া স্বরুপ পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। সাথে সাথে মুসা আ. বললেন! আপনি আল্লাহর কাছে যান আরো কমিয়ে নিয়ে আসুন। কেননা আমি আমার উম্মতের অবস্থা অবলোকন করেছি তারা সবকিছু পেয়েও পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারে নাই। আর আপনার উম্মত তো আরো দুর্বল, এবং তাদের হায়াত ও কম তারা পারবেনা। আপনি পুনরায় আল্লাহর দরবারে যান, তখন   রাসুল সা. আল্লাহর দরবারে গেলেন এবং উম্মতের দুর্বলতা প্রকাশ করলেন। তখন আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কম করে দিলেন। পুনোরায় আবার দেখা হলে পূর্বের ন্যায় বললেন! রাসুল সা. ঐ অনুযায়ী কাজ করলেন। একপর্যায় পাঁচ ওয়াক্ত পর্যন্ত নিয়ে আসলেন। তখন রাসুল সা. বললেন! আমার লজ্জা লাগে আমি আর এর চেয়ে কমাতে পারবোনা। তখন আল্লাহ তা’য়ালা রাসুল সা. কে জানিয়ে দিলেন যে, হে আমার হাবীব যে ব্যক্তি উত্তমভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে আমি আল্লাহ তাকে পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামজের সাওয়াব দিয়ে দিবো। অর্থাৎ যদিও ব্যহ্যিক অবস্থায় কম কিন্তু সাওয়াবের দিক দিয়ে তা পরিপূর্ণ করে দিবেন। রাসুল সা. এই সফর অবস্থায় জান্নাত-জাহান্নামের অবস্থা দেখলেন। কাকে কোন্ ধরনের নেয়ামত দিবেন, এবং কাকে কোন্ ধরনের শাস্তি দিবেন তা পর্যবেক্ষনণ করে এসে তার উম্মতকে ভয়-ভীতি দেখালেন। এটা হলো মে’রাজের সংক্ষিপ্তরুপ। (সিরাতে মুস্তফা সা. ও সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, ফাতহুল বারী  মেরাজের অধ্যায় ৭/১৬৯, খাসায়েসে কুবরা ১/১৭৫, যুরকানী ৪/৪৮)
আর উক্ত মে’রাজ রাসুল সা. এর শশরীরে হয়েছে, এবং শশরীরে হওয়ার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন রাখা ঈমানী কর্তব্য। উক্ত মে’রাজকে অস্বীকার কারী কাফের হয়ে যাবে।
 তাই আসুন আমরা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে কিছু আলোচনা পেশ করা করা হলো। মহান রাব্বুল আলামীন কোরআনে দু’জায়গায় মে’রাজের আলোচনা করেছেন। একটি সূরায় “ইসরা” অপরটি  সূরায় “নজম”। এপ্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন 
سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ (১)
রমপ পবিত্র মহিমাময় সত্তা, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চার দিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছিলাম। যেন আমি তাকে আমার নিদর্শানাবলি দেখাতে পারি। নিশ্চয় তিনি অধিক শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।(বনী ইসরাইল-১)। কুরআনের পরিভাষায় “ইসরা” শব্দ দ্বারা মেরাজের ঘটনার ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আভিধানিক অর্থ হলো রাতে নিয়ে যাওয়া। আর উক্ত সফরটি রাতের কোনো এক সময় হয়েছিল বিধায় তাকে ইসরা বলে। আর “মে’রাজ” অর্থ হলো সিঁড়ি অর্থাৎ যার মাধ্যমে উপরে উঠা যায় যেহেতু রাসুল সা. ‘বোরাক’ নামক জন্তুতে ছাওয়ার হয়ে উপরে উঠে আল্লাহর দিদার লাভ করেছেন তাই তাকে মে’রাজ বলে। আর উক্ত মে’রাজ রাসুল সা. এর ৫০ বছর বয়সে রজব মাসের ২৭ তারিখ ও নবুওয়তের দশম বর্ষে সংঘটিত হয়। (সিরাতে মুস্তফা ও তারিখুল ইসলাম) কেউ বলেন নবুওয়তের পঞ্চম বছরে মে’রাজ সংঘটিত হয়।( সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, মুফতি শফী রহ.) আল্লাহ তা’য়ালা ইরশাদ করেন
ثُمَّ دَنَا فَتَدَلَّى (৮) فَكَانَ قَابَ قَوْسَيْنِ أَوْ أَدْنَى (৯) فَأَوْحَى إِلَى عَبْدِهِ مَا أَوْحَى (১০) مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى (১১) أَفَتُمَارُونَهُ عَلَى مَا يَرَى (১২) وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى (১৩) عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهَى (১৪) عِنْدَهَا جَنَّةُ الْمَأْوَى (১৫) إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى (১৬) مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغَى (১৭) لَقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى (১৮)
অতঃপর সে তার নিকটবর্তী হলো, অতি নিকটবর্তী । ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা উহারও কম । তখন আল্লাহ তা’য়ালা তার বান্দার প্রতি যাহা ওহী করিবার তাহা ওহী করিলেন। যাহা সে দেখিয়াছে তাহার অন্তঃকরণ তাহা অস্বীকার করে নাই। সে যাহা দেখিয়াছে তোমরা কি সে বিষয়ে তাহার সঙ্গে বিতর্ক করিবে?। নিশ্চয় সে তাহাকে আরেকবার দেখিয়াছে। প্রান্তবর্তী বদরী বৃক্ষের নিকট। যাহার নিকট অবস্থিত বাসোদ্যান। যখন বৃক্ষটি যদ্বারা আচ্ছাদিত হইবার তদ্বারা ছিলো আচ্ছাদিত। তাহার দৃষ্টিবিভ্রম হয় নাই, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যুতও হয় নাই।(সুরা-৮-১৮(
হাদিসে বর্ণিত আছে-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ্রأُتِيتُ بِالْبُرَاقِ، وَهُو  دَابَّةٌ أَبْيَضُ طَوِيلٌ فَوْقَ الْحِمَارِ، وَدُونَ الْبَغْلِ، يَضَعُ حَافِرَهُ عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهِগ্ধ، قَالَ: ্রفَرَكِبْتُهُ حَتَّى أَتَيْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِগ্ধ، قَالَ: ্রفَرَبَطْتُهُ بِالْحَلْقَةِ الَّتِي يَرْبِطُ بِهِ الْأَنْبِيَاءُগ্ধ، قَالَ " ثُمَّ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ، فَصَلَّيْتُ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجْتُ فَجَاءَنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِإِنَاءٍ مِنْ خَمْرٍ، وَإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ، فَاخْتَرْتُ اللَّبَنَ، فَقَالَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اخْتَرْتَ الْفِطْرَةَ، ثُمَّ عُرِجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ
হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. সুত্রে বর্ণিত তিনি রাসুল সা. থেকে এই ইরশাদ বর্ণনা করেন যে, আমার জন্য বোরাক নিয়ে আসা হলো, বোরাক হচ্ছে সাদা রঙের  একপ্রকার আরোহণের বাহন  সে গাধার চেয়ে বড় খচ্ছর চেয়ে ছোট, এবং প্রতিটি কদম ফেলে দৃষ্টির শেষ সীমানায়)। রাসুল সা. বললেন আমি তাতে আরোহন হয়ে বাইতুল মাকদিসে আসলাম। আমি নবীগণের বাধিত চিদ্রের সাথে তাকে বেঁধে রাখলাম। রাসুল সা. বললেন অতঃপর আমি মসজিদে প্রবেশ করলাম,এবং দু রাকাত নামাজ আদায় করলাম।অতঃপর সেখান থেকে বের হলাম তখন জিবরাইল আ. দুুধ ও শরাব ভর্তি দুটো পাত্র নিয়ে আসলেন। আমি দুধের পাত্রটি গ্রহন করলাম। অতঃপর জিবরাইল আ. বললেন আপনি ফিতরাতকেই গ্রহন করেছেন। (সহীহ মুসলিম-২৫৯)
অন্যত্রে বর্ণিত আছে
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ্রأُتِيتُ بِالْبُرَاقِ، وَهُوَ دَابَّةٌ أَبْيَضُ طَوِيلٌ فَوْقَ الْحِمَارِ، وَدُونَ الْبَغْلِ، يَضَعُ حَافِرَهُ عِنْدَ مُنْتَهَى طَرْفِهِগ্ধ، قَالَ: ্রفَرَكِبْتُهُ حَتَّى أَتَيْتُ بَيْتَ الْمَقْدِسِগ্ধ، قَالَ: ্রفَرَبَطْتُهُ بِالْحَلْقَةِ الَّتِي يَرْبِطُ بِهِ الْأَنْبِيَاءُগ্ধ، قَالَ " ثُمَّ دَخَلْتُ الْمَسْجِدَ، فَصَلَّيْتُ فِيهِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجْتُ فَجَاءَنِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِإِنَاءٍ مِنْ خَمْرٍ، وَإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ، فَاخْتَرْتُ اللَّبَنَ، فَقَالَ جِبْرِيلُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اخْتَرْتَ الْفِطْرَةَ، ثُمَّ عُرِجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ [ص:১৪৬]، فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ، فَقِيلَ: مَنَ أَنْتَ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: َ قَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ، فَفُتِحَ لَنَا، فَإِذَا أَنَا بِآدَمَ، فَرَحَّبَ بِي، وَدَعَا لِي بِخَيْرٍ، ثُمَّ عُرِجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ الثَّانِيَةِ، فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، فَقِيلَ: مَنَ أَنْتَ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: قَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ، فَفُتِحَ لَنَا، فَإِذَا أَنَا بِابْنَيْ الْخَالَةِ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، وَيَحْيَى بْنِ زَكَرِيَّاءَ، صَلَوَاتُ اللهِ عَلَيْهِمَا، فَرَحَّبَا وَدَعَوَا لِي بِخَيْرٍ، ثُمَّ عَرَجَ بِي إِلَى السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ، فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ، فَقِيلَ: مَنَ أَنْتَ؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قِيلَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: قَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ، فَفُتِحَ لَنَا، فَإِذَا أَنَا بِيُوسُفَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا هُوَ قَدِ اُعْطِيَ شَطْرَ الْحُسْنِ، فَرَحَّبَ وَدَعَا لِي بِخَيْرٍ، ثُمَّ عُرِجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ الرَّابِعَةِ، فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قَالَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: قَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ، فَفُتِحَ لَنَا فَإِذَا أَنَا بِإِدْرِيسَ، فَرَحَّبَ وَدَعَا لِي بِخَيْرٍ، قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ: {وَرَفَعْنَاهُ مَكَانًا عَلِيًّا} [مريم: ৫৭]، ثُمَّ عُرِجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ الْخَامِسَةِ، فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ فَقَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: قَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ، فَفُتِحَ لَنَا فَإِذَا أَنَا بِهَارُونَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَحَّبَ، وَدَعَا لِي بِخَيْرٍ، ثُمَّ عُرِجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ السَّادِسَةِ، فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ، قِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ، قِيلَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: قَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ، فَفُتِحَ لَنَا، فَإِذَا أَنَا بِمُوسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَحَّبَ وَدَعَا لِي بِخَيْرٍ، ثُمَّ عُرِجَ بِنَا إِلَى السَّمَاءِ السَّابِعَةِ، فَاسْتَفْتَحَ جِبْرِيلُ، فَقِيلَ: مَنْ هَذَا؟ قَالَ: جِبْرِيلُ، قِيلَ: وَمَنْ مَعَكَ؟ قَالَ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قِيلَ: وَقَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ؟ قَالَ: قَدْ بُعِثَ إِلَيْهِ، فَفُتِحَ لَنَا فَإِذَا أَنَا بِإِبْرَاهِيمَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسْنِدًا ظَهْرَهُ إِلَى الْبَيْتِ الْمَعْمُورِ، وَإِذَا هُوَ يَدْخُلُهُ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ لَا يَعُودُونَ إِلَيْهِ، ثُمَّ ذَهَبَ بِي إِلَى السِّدْرَةِ الْمُنْتَهَى، وَإِذَا وَرَقُهَا كَآذَانِ الْفِيَلَةِ، وَإِذَا ثَمَرُهَا كَالْقِلَالِ "، قَالَ: " فَلَمَّا غَشِيَهَا مِنْ أَمْرِ اللهِ مَا غَشِيَ تَغَيَّرَتْ، فَمَا أَحَدٌ مِنْ خَلْقِ اللهِ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَنْعَتَهَا مِنْ حُسْنِهَا، فَأَوْحَى اللهُ إِلَيَّ مَا أَوْحَى، فَفَرَضَ عَلَيَّ خَمْسِينَ صَلَاةً فِي كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَنَزَلْتُ إِلَى مُوسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَا فَرَضَ رَبُّكَ عَلَى أُمَّتِكَ؟ قُلْتُ: خَمْسِينَ صَلَاةً، قَالَ: ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ، فَإِنَّ أُمَّتَكَ لَا يُطِيقُونَ ذَلِكَ، فَإِنِّي قَدْ بَلَوْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَخَبَرْتُهُمْ "، قَالَ: " فَرَجَعْتُ إِلَى رَبِّي، فَقُلْتُ: يَا رَبِّ، خَفِّفْ عَلَى أُمَّتِي، فَحَطَّ عَنِّي خَمْسًا، فَرَجَعْتُ إِلَى مُوسَى، فَقُلْتُ: حَطَّ عَنِّي خَمْسًا، قَالَ: إِنَّ أُمَّتَكَ لَا يُطِيقُونَ ذَلِكَ، فَارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ "، قَالَ: " فَلَمْ أَزَلْ أَرْجِعُ بَيْنَ رَبِّي تَبَارَكَ وَتَعَالَى، وَبَيْنَ مُوسَى عَلَيْهِ السَّلَامُ حَتَّى قَالَ: يَا مُحَمَّدُ، إِنَّهُنَّ خَمْسُ صَلَوَاتٍ كُلَّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، لِكُلِّ صَلَاةٍ عَشْرٌ، فَذَلِكَ خَمْسُونَ صَلَاةً، وَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كُتِبَتْ لَهُ حَسَنَةً، فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ لَهُ عَشْرًا، وَمَنْ هَمَّ بِسَيِّئَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا لَمْ تُكْتَبْ شَيْئًا، فَإِنْ عَمِلَهَا كُتِبَتْ سَيِّئَةً وَاحِدَةً "، قَالَ: " فَنَزَلْتُ حَتَّى انْتَهَيْتُ إِلَى مُوسَى صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ التَّخْفِيفَ "، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فَقُلْتُ: قَدْ رَجَعْتُ إِلَى رَبِّي حَتَّى اسْتَحْيَيْتُ مِنْهُ "(صحيح مسلم ২৫৯) 
এই মে’রাজে ব্যপারে সমস্ত সাহাবায়ে কেরাম তাবেয়ীন ও তবে তাবেয়ীন একমত পোষন করেছেন। এতে কারো ভিন্নমত পোষনকারী নেই।
তবে রাসুল সা. এর মে’রাজ জাগ্রত (শশরীরে) হলো নাকি ঘুমন্ত অবস্থায় হলো তা নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকিদা এবং মুহাক্কিক ও জমহুর ওলামাদের নিকট জাগ্রত অবস্থায় রাসুল সা. এর মে’রাজ সংগঠিত হয়। তাই তার কিছু প্রমাণাদি নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
قال الطحاوي: "والمعراج حق، وقد أسري بالنبي صلى الله عليه وسلم وعرج بشخصه في اليقظة إلى السماء، ثم إلى حيث شاء الله من العلا، وأكرمه الله بما شاء، وأوحى إليه ما أوحى، ما كذب الفؤاد ما رأى فصلى الله عليه في الآخرة والأولى". (انظر شرح الطحاوية ص১৬৮، وانظر الإجماع الآتي)
[৬৮] والإيمان بأن رسول الله صلى الله عليه وسلم أسري به إلى السماء وصار إلى العرش وكلمه الله تبارك وتعالى، ودخل الجنة واطلع إلى النار ورأى الملائكة ونشرت له الأنبياء، ورأى سرادقات العرش والكرسي وجميع ما في السماوات وما في الأرضين في اليقظة، حمله جبريل على البراق حتى أداره في السماوات، وفرضت عليه الصلاة في تلك الليلة، ورجع إلى مكة في تلك الليلة، وذلك قبل الهجرة. (شرح السنة للبربهاري৮১) 
وأقروا بمعراج النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَنه عرج بِهِ إِلَى السَّمَاء السَّابِعَة وَإِلَى ماشاء الله فِي لَيْلَة فِي الْيَقَظَة بِبدنِهِ( التعرف لمذهب أهل التصرف৫৭)
ثُمَّ اخْتَلَفَ النَّاسُ: هَلْ كَانَ الْإِسْرَاءُ بِبَدَنِهِ عَلَيْهِ السَّلَامُ (৯) وَرُوحِهِ؟ أَوْ بِرُوحِهِ فَقَطْ؟ عَلَى قَوْلَيْنِ، فَالْأَكْثَرُونَ مِنَ الْعُلَمَاءِ عَلَى أَنَّهُ أُسْرِيَ بِبَدَنِهِ وَرُوحِهِ يَقَظَةً لَا مَنَامًا، وَلَا يُنْكَرُ أَنْ يَكُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى قَبْلَ ذَلِكَ مَنَامًا، ثُمَّ رَآهُ بَعْدَهُ يَقَظَةً؛ لِأَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ (১০) كَانَ لَا يَرَى رُؤْيَا إِلَّا جَاءَتْ مِثْلَ فَلَقِ الصُّبْحِ؛ وَالدَّلِيلُ عَلَى هَذَا قَوْلُهُ [عَزَّ وَجَلَّ] (১১) {سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ} فَالتَّسْبِيحُ إِنَّمَا يَكُونُ عِنْدَ الْأُمُورِ الْعِظَامِ، وَلَوْ كَانَ مَنَامًا لَمْ يَكُنْ فِيهِ كَبِيرُ شَيْءٍ وَلَمْ يَكُنْ مُسْتَعْظَمًا، وَلَمَا بَادَرَتْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ إِلَى تَكْذِيبِهِ، وَلَمَا ارْتَدَّ جَمَاعَةٌ مِمَّنْ كَانَ قَدْ أَسْلَمَ. وَأَيْضًا فَإِنَّ الْعَبْدَ عِبَارَةٌ عَنْ مَجْمُوعِ الروح والجسد،
الأمور العظام، فلو كَانَ مَنَامًا لَمْ يَكُنْ فِيهِ كَبِيرُ شَيْءٍ، وَلَمْ يَكُنْ مُسْتَعْظَمًا، وَلَمَا بَادَرَتْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ إلى تكذيبه، ولما ارتدت جَمَاعَةٌ مِمَّنْ كَانَ قَدْ أَسْلَمَ.
وَأَيْضًا فَإِنَّ العبد عبارة عن مجموع الروح والجسد، وقال تعالى أَسْرى بِعَبْدِهِ لَيْلًا وقال تَعَالَى: وَما جَعَلْنَا الرُّؤْيَا الَّتِي أَرَيْناكَ إِلَّا فِتْنَةً لِلنَّاسِ [الإسراء: ৬০] قال ابن عباس: هِيَ رُؤْيَا عَيْنٍ أُرِيهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْلَةُ أسري به، والشجرة الملعونة هي شَجَرَةُ الزَّقُّومِ، رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ ্র১গ্ধ ، وَقَالَ تَعَالَى: مَا زاغَ الْبَصَرُ وَما طَغى [النَّجْمِ: ১৭] وَالْبَصَرُ مِنْ آلَاتِ الذَّاتِ لَا الرُّوحِ، وَأَيْضًا فَإِنَّهُ حُمِلَ عَلَى الْبُرَاقِ وَهُوَ دَابَّةٌ بَيْضَاءُ بَرَّاقَةٌ لَهَا لَمَعَانٌ، وَإِنَّمَا يَكُونُ هَذَا لِلْبَدَنِ لَا لِلرُّوحِ لِأَنَّهَا لَا تَحْتَاجُ فِي حَرَكَتِهَا إِلَى مَرْكَبٍ تَرْكَبُ عَلَيْهِ، وَاللَّهُ أَعْلَمُ.( تفسير ابن كثير৫/ ৪০,৪৩)
الإسراء في ليلة والمعراج [في ليلة] ১ فقد غلط، ومن قال: إنه منام وأنه لم يسر بجسده فقد كفر الاقتصاد في الاعتقادللمقدسي ১/১৫৬
وكان من حديث الإسراء: ্রأنه صلى الله عليه وسلم أسري بجسده في اليقظة، على الصحيح، شرح الطحاوية ت الارناؤوط১/২৭৩
معراج النبي صل الله عليه وسلم بجسده في اليقظة حق
 মে’রাজ থেকে আমাদের শিক্ষা-রাসুল সা. মে’রাজ থেকে ফিরে এসে সুরা বনী ইসরাইলের মাধ্যমে ১৪ দফা এই উম্মতে মুহাম্মাদিয়ার সামনে পেশ করেন। তা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
لَا تَجْعَلْ مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ فَتَقْعُدَ مَذْمُومًا مَخْذُولًا (২২) وَقَضَى رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا (২৩) وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُلْ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا (২৪) رَبُّكُمْ أَعْلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمْ إِنْ تَكُونُوا صَالِحِينَ فَإِنَّهُ كَانَ لِلْأَوَّابِينَ غَفُورًا (২৫) وَآتِ ذَا الْقُرْبَى حَقَّهُ وَالْمِسْكِينَ وَابْنَ السَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا (২৬) إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا (২৭) وَإِمَّا تُعْرِضَنَّ عَنْهُمُ ابْتِغَاءَ رَحْمَةٍ مِنْ رَبِّكَ تَرْجُوهَا فَقُلْ لَهُمْ قَوْلًا مَيْسُورًا (২৮) وَلَا تَجْعَلْ يَدَكَ مَغْلُولَةً إِلَى عُنُقِكَ وَلَا تَبْسُطْهَا كُلَّ الْبَسْطِ فَتَقْعُدَ مَلُومًا مَحْسُورًا (২৯) إِنَّ رَبَّكَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِرُ إِنَّهُ كَانَ بِعِبَادِهِ خَبِيرًا بَصِيرًا (৩০) وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ نَحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ إِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا (৩১) وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا (৩২) وَلَا تَقْتُلُوا النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَمَنْ قُتِلَ مَظْلُومًا فَقَدْ جَعَلْنَا لِوَلِيِّهِ سُلْطَانًا فَلَا يُسْرِفْ فِي الْقَتْلِ إِنَّهُ كَانَ مَنْصُورًا (৩৩) وَلَا تَقْرَبُوا مَالَ الْيَتِيمِ إِلَّا بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ حَتَّى يَبْلُغَ أَشُدَّهُ وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْئُولًا (৩৪) وَأَوْفُوا الْكَيْلَ إِذَا كِلْتُمْ وَزِنُوا بِالْقِسْطَاسِ الْمُسْتَقِيمِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا (৩৫) وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا (৩৬) وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا إِنَّكَ لَنْ تَخْرِقَ الْأَرْضَ وَلَنْ تَبْلُغَ الْجِبَالَ طُولًا (৩৭) كُلُّ ذَلِكَ كَانَ سَيِّئُهُ عِنْدَ رَبِّكَ مَكْرُوهًا (৩৮) 
অর্থ (২২) আল্লাহ তায়ালা সঙ্গে অপর কাউকে ইলাহ সাব্যস্ত করো না, করিলে নিন্দিত ও লাঞ্চিত হবে। (২৩) তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ব্যতিত অন্য কারো ইবাদত করোনা, এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়জন তোমার জীবদ্দশায় বার্ধ্যকে উপনিত হয় তাদেরকে উফ্ বলিওনা, তাদেরকে ধমক দিয়ে কথা বলোনা। তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বলো। (২৪) মমতাবশে তাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনতি করো, এবং(দোয়া স্বরুপ বলবে) হে আমার প্রতি পালক! তাদের প্রতি দয়া করো যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন। (২৫)  তোমাদের প্রতিপালক তোমদের অন্তরে যা আছে তা ভালো করে জানেন। যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও, তবেই তো তিনি আল্লাহ অভিমুখিদের অতিশয় ক্ষমাশীল। (২৬) আত্মীয়-স্বজনকে দিবে তার প্রাপ্য, এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও। তবে কিছুতেই অপব্যয় করো না। (২৭) আর যারা অপব্যয় করে তারা তো শয়তানের ভাই এবং শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অভিশয় অকৃজ্ঞ। (২৮) এবং যদি উহাদের হতে তোমার মুখ ফিরাতেই হয়, তোমার প্রতিপালকের নিকট অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় তাহা হলে উহাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বলিও। (২৯) তুমি তোমার হস্ত তোমা গ্রীবায় আবদ্ধ করিয়া রাখিওনা, এবং উহা সম্পূর্ণ প্রসারিতও করিওনা, তাহলে তুমি তিরস্কৃত ও নিস্ব হয়ে যাবে। (৩০) নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক যার জন্য ইচ্ছা তার রিযিক বর্ধিত করেন, তিনি তো তার বান্দাদের সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত সর্বদ্রষ্টা। (৩১) তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্র-ভয়ে হত্যা করিওনা।উহাদেরকেও আমিই রিযিক দেই এবং তোমাদেরকও।নিশ্চয়ই উহাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। (৩২) আর যিনার নিকটবর্তী হয়োনা ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (৩৩) আল্লাহ যাহার হত্যা নিষিদ্ধ করিয়াছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করোনা। কেহ অন্য্য়ভাবে নিহত হলে তাহার তাহার উত্তরাধিকারীকে তো আমি উহা প্রতিকারের অধিকার দিয়েছি। কিন্তু হত্যার ব্যাপারে সে তো সাহায্যপ্রাপ্ত হইয়াছে। (৩৪) ইয়াতীম প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত সদুপায় ছাড়া তোমরা তার সম্পত্তির নিকটবর্তী হয়োনা,এবং প্রতিশ্রুতি পালন করো; নিশ্চয় প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (৩৫) মাপের দেয়ার সময় পূর্ণ মাপে দিবে এবং ওজন করিবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়, ইহাই উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্ট। (৩৬) যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুষরণ করোনা। কর্ণ, চক্ষু, হৃদয় , প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে। (৩৭) ভূপৃষ্ঠে দম্ভকরে চলোনা, তুমি তো কখনই পদভরে ভূপৃষ্ঠ বিদীর্ণ করতে পারবেনা. এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বতপ্রমাণ হইতে পারবেনা। (৩৮) এই সমস্তের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেগুলো তোমার প্রতিপালকের নিকট ঘৃণ্য। উক্ত বিধানগুলো আমাদের যথাযথভাবে পালন করা আবশ্যকীয় ও কর্তব্য।
এই রাতের আমল সমুহ- 
عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، وَفِيهِ بَعَثَ اللهُ مُحَمَّدًا (شعب الإيمان৩৫৩০)
সালমান ফারসী রা. সুত্রে বর্ণিত তিনি রাসুল সা. থেকে এই ইরশাদ নকল করেন যে, রজব মাসে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে যে রাতে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমল নামাজ ঐ পরিমাণ ছাওয়াব কোনো ব্যক্তি একশত বছর দিনের বেলায় রোজা রাখলে তার আমলনামায় যেরুপ ছাওয়াব লেখা হয়। আর সেই মুবারক রাত্র ও দিনটি হচ্ছে রজব মাসের ২৭ তারিখ তথা শবে মি’রাজের রাত ও দিন।
তবে উক্ত তারিখে মিষ্টি, তবারক ইত্যাদি মসজিদে বিতরণ করা এবং মহল্লাবাসী থেকে টাকা-পয়সা কালেকশন করা বিদআত বলে বিবেচিত। যা বর্তমানে আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হয়। এমনো দেখা যায় সারারাত যিকির-আযকার, মিষ্টি, জিলাপি নিয়ে ব্যস্ত ছিলো কিন্তু মহান আল্লাহর ফরজ বিধান ফজর নামাজের আদায় করার সময় থাকেনা। যদি এমন হয় তাহলে উক্ত কাজ থেকে বিরত থাকা বুদ্ধিমানের পরিচয়। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে শবে মে’রাজের মর্মার্থ বুঝে আমল করার তাওফিক দান করুন। (আমীন)

হযরত মাওলানা মুফতি নুরুল আবছার
                     উস্তাদ:
আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলূম ঢাকা 
আফতাবনগর মসজিদ মাদরাসা কমপ্লেক্স,
      মেরুল বাড্ডা ঢাকা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.